স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয় কি আমাদের

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয় কি আমাদের

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয় কি আমাদের 

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজ কর্মের মাঝে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে খুব কম মানুষই চিন্তা করার সময় পায়। কারণ জীবিকা নির্বাহ করার জন্য আমরা আমাদের জীবনের বেশিরভাগ সময় কাজের মধ্যেই শেষ করে ফেলি। কিন্তু স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সুস্থতা আল্লাহর দেয়া সবচেয়ে বড় নিয়ামত। 
 
ধরুন আপনি কোটি টাকার মালিক কিন্তু আপনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তখন আপনার কাছে এই টাকা মূল্যহীন মনে হবে। কারণ সারাজীবন টাকা ইনকাম করার জন্য নিজেকে কাজে ব্যস্ত রেখেছেন। যার ফলে সময়মত খাওয়া ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা কোনো কিছুই ঠিক ভাবে মেনে চলতে পারেননি। মনে রাখবেন সব ব্যস্ততার মাঝেও নিজেকে নিয়ে ভাবা ও নিজেকে সময় দেয়া খুবই জরুরি। যদি স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিকে খেয়াল না করেন তাহলে আপনি রোগা হয়ে যাবেন এবং অসুস্থতায় বেশি ভুগবেন। আমরা নিজেদের ভালোর চাইতে ক্ষতিটাও বেশি করে থাকি। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো আমরা জেনে বুঝে নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করে থাকি। আজ আমি কিছু সহজ মাদ্ধম আপনাদের শেয়ার করবো। এই সহজ মাধ্যমগুলো যদি মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবেন। 

স্বাস্থ্য সুরক্ষা

  • স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রথমত আপনাকে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো যে সিগারেটে প্যাকেটে ক্ষতির কথা দেয়া থাকলেও মানুষ ধূমপান বেশি করে থাকে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অবশ্যই আপনাকে ধূমপান করা, মদ খাওয়া ও জর্দা দিয়ে পান খাওয়া ইত্যাদি সকল প্রকারের নেশাজাত দ্রব্য থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে। এইসব নেশাজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারলে আপনার স্বাস্থ্যর উপর সবচেয়ে ভালো প্রভাব পরবে। 

  • স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজেকে টেনশন ও দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে হবে। খারাপ চিন্তা ও টেনশন মানুষের শরীরের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। কখনো টেনশন করবেন না ও খারাপ চিন্তা করবেন না। কথায় আছে টেনশন মানুষের বয়স বাড়িয়ে দেয়। নিজেকে টেনশন থেকে দূরে রাখার জন্য মোটিভেশনাল ভিডিও দেখুন, বই পড়ুন, গল্পের বই পড়ুন ইত্যাদি ভালো কাজগুলো বেছে নিয়ে নিজেকে শান্ত রাখুন। যখন কোনো কিছু টেনশন মনে হবে তখন নিজের মনটাকে অন্য কাজের মধ্যে ব্যস্ত করে ফেলুন। 

  • স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আপনি বেশি বেশি হাঁটাচলা ও ব্যায়াম করুন। হাঁটাচলা ও ব্যায়াম করার ফলে আপনার স্বাস্থ্য খুব ভালো থাকবে ও আপনি ফিট থাকতে পারবেন। হাঁটাচলা ও ব্যায়াম আপনার স্বাস্থ্যর উন্নতি ঘটাবে। 

  • স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবশ্যই আপনাকে পুষ্টিকর জাতীয় খাবার খেতে হবে। নিয়ম মেনে তিনবেলা খাবার খেতে হবে। বেশি পেট ভরে খাবার খাবেন না আবার কম খাবার গ্রহণ করবেন না। পেট ভরার মতো খাবার গ্রহণ করবেন। এর ফলে শরীর ভালো থাকবে ও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। বেশি বেশি পানি পান করবেন। পানি আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন কিছুটা হলেও ফল ও বাদাম জাতীয় খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন। তেলজাতীয় ও ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন। বেশি ঠান্ডা ও বেশি গরম খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। 

  • স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঘুম আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন। আপনি কি জানেন ঘুম কিন্তু শরীরের একটি খাবার। ঘুমটাকে আপনি আপনার শরীরের জন্য রিকোভারি খাদ্য বলতে পারেন। কিন্তু সবসময় ঘুমালে হবে না। আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ রাট জাগে ফোন টিপে এবং ভোরবেলা ঘুমাতে যায়। এইভাবে স্বাস্থ্যর উন্নতির চাইতে ক্ষতি বেশি হয়। ঘুমানোর একটি নিয়ম রয়েছে। আমি নিয়মটা বলছি যদি মেনে চলতে পারেন তাহলে নিজেদের স্বাস্থ্যর উপর কতটুকু ভালো প্রভাব পড়েছে সেটা বুঝতে পারবেন। আপনাকে নিয়মিত কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। রাত ১০ টা বাজে বিছানায় গায়ে ঘুমাতে হবে এবং ৬ টা বাজে অর্থাৎ ভোরবেলা উঠতে হবে। তারপর হাঁটাচলা করবেন ও ব্যায়াম করবেন। এই ভাবে যদি নিজেকে নিয়মের মধ্যে রাখতে পারেন তাহলে ইনশাআল্লাহ সুস্থ থাকবেন ও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। 

নিজেদের জীবনের মধ্যে কিছুটা সময় নিজের শরীরটাকে নিয়ে ভাবুন। নিজের প্রতি সময় দিন। নিজের মত করে কিছু সময় বাচুন। সর্বপ্রথম নিজের সুস্থ থেকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ টাকা দিয়ে আপনি কখনো সুস্থতা কিনতে পারবেন না। সুস্থতা আল্লাহর দেয়া সবচেয়ে বড়ো নিয়ামত। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আপনার নিজেকেই নিজের খেয়াল রাখতে হবে। উপরে উল্লিখিত কাজ গুলো করে দেখুন আশা করি উপকৃত হবেন। 

মন্তব্যসমূহ